ইসরায়েলের মূল ভূখণ্ডে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার ঘটনায় সৌদি, তুরস্ক, মিশর ও জর্ডানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সঙ্গে কথা বলেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন।
মার্কিন শীর্ষ কূটনীতিক জানিয়েছেন, ওয়াশিংটন এই অঞ্চলে কোনো ধরনের সংঘাত চায় না। তবে ইসরায়েলের ভৌগোলিক সুরক্ষার প্রতি ওয়াশিংটনের সমর্থন অব্যাহত থাকবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। একই সময় ব্লিঙ্কেন গাজা উপত্যকায় মানবিক সাহায্য বাড়ানোর গুরুত্ব নিয়েও আলোচনা করেছেন।
এর আগে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, মধ্যপ্রাচ্যের সামরিক শক্তিধর ইরানের বিরুদ্ধে ঘনিষ্ঠমিত্র ইসরায়েল যদি কোনো পাল্টা হামলা চালায়, তবে তাতে জড়াবে না যুক্তরাষ্ট্র।
যদিও ইসরাইলের সম্ভাব্য পাল্টা হামলার বিষয়ে উচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে ইরানের বিপ্লবী গার্ড। একইসঙ্গে ইসরায়েলকেও সতর্কবার্তা পাঠিয়েছে ইরান।
গত ১ এপ্রিল সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে ইরানি কনস্যুলেটে হামলার জবাবে শনিবার রাতে ইসরায়েলের মূল ভূখণ্ডে আক্রমণাত্মক ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা শুরু করে তেহরান। ইতোমধ্যে হামলায় যোগ দিয়েছে ইয়েমেনের ইরান-পন্থী সশস্ত্র গোষ্ঠী হুতি। এরপর লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর পক্ষ থেকেও ইসরায়েলে রকেট হামলা চালানো হয়েছে বলে জানা গেছে।
অন্যদিকে, ইসরায়েলে হামলার পর দেশটি পাল্টা কি ধরনের প্রতিক্রিয়া দেখায়, সে বিষয়ে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে তেহরানের বিপ্লবী গার্ড। ইরানের কর্মকর্তারা বলছেন, দামেস্কে ইসরায়েলের হামলার বিষয়ে তাদের প্রতিক্রিয়া সুনির্দিষ্ট এবং সীমিত হবে।
খবর: আল জাজিরা