সংঘর্ষ, গুলি, টিয়ারশেল, জাল ভোটের মহোৎসবসহ নানান ঘটনার মধ্য দিয়ে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ চলে।
এ দফায় ১৫২টি উপজেলার তফসিল ঘোষণা করা হলেও ১৩৯টি উপজেলায় নির্বাচন হয়েছে। ভোটের আগেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন ২৮ জন প্রার্থী। গত ৭ জানুয়ারির জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মতো স্থানীয় সরকারের এ নির্বাচনেও ভোটার উপস্থিতি ছিল খুবই কম। সংসদ নির্বাচনের মতো আবারও একতরফা ভোটারহীন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলো। অনেক এলাকায় সারাদিনই কেন্দ্র ছিল ফাঁকা। ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করেও ভোটারের দেখা মেলেনি।
সারাদিনে ২০ থেকে ২৫ শতাংশের বেশি ভোট পড়েনি বলে কেন্দ্রে উপস্থিত ভোটাররা মনে করেন। তবে ভোট শেষে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ ভোট পড়েছে বলে দাবি করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, ধান কাটার মৌসুম এবং বৃষ্টির জন্য ভোটার উপস্থিতি কম হয়েছে।
এদিকে বিএনপির দাবি গত ৭ জানুয়ারির জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মতো এই উপজেলা নির্বাচনও ভোটাররা বর্জন করেছেন। বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী গতকাল নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, আওয়ামী লীগের প্রতারণার ফাঁদে পা না দিয়ে দেশের ভোটাররা ৭ জানুয়ারির নির্বাচনের মতো উপজেলা নির্বাচনও প্রত্যাখ্যান করেছেন।
এখন ভোটারদের ভোটের প্রয়োজন হয় না। ফলাফল নির্ধারিত থাকে, সেটিই ঘোষিত হয়। এ কারণে ভোট নিয়ে মানুষের কোনো আগ্রহ নেই।