সোমালিয়া উপকূলে বাংলাদেশি পতাকাবাহী জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ ও এর ২৩ নাবিককে জিম্মি করে রাখা জলদস্যুদের ওপর চাপ বাড়াচ্ছে আন্তর্জাতিক বাহিনী ও সোমালি পুলিশ। দস্যুদের সঙ্গে ভূমির যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করতে অভিযান শুরু করেছে সোমালিয়ার পান্টল্যান্ড পুলিশ।
শুক্রবার সোমালিয়ার স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল পান্টল্যান্ডের নুগাল পুলিশ বিভাগের কমান্ডারের বরাত দিয়ে বিবিসি এ খবর দিয়েছে। এর আগে ইইউর একটি যুদ্ধজাহাজ দস্যুকবলিত জাহাজের কাছাকাছি অবস্থান করে পাহারা দিচ্ছে এবং হেলিকপ্টারে জাহাজটিকে ঘিরে চক্কর দিচ্ছে বলে খবর বেরিয়েছে।
এদিকে চাপ মোকাবিলায় জলদস্যুরাও নিচ্ছে নানা কৌশল। হামলা মোকাবিলায় এমভি আবদুল্লাহ জাহাজে বিমান বিধ্বংসী ‘কামান’ কিংবা স্টেনগানের মতো ভারী অস্ত্র মোতায়েন করা হয়েছে। আকাশের দিকে তা তাক করে রাখার একটি ছবিও প্রকাশ করেছে সেখানকার একটি গণমাধ্যম। সরকারি, আন্তর্জাতিক বিভিন্ন বাহিনী ও জলদস্যুদের অনড় এবং পালটাপালটি এ অবস্থানের কারণে সংকট ঘনীভূত হচ্ছে বলেই মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। তারা বলছেন, এ মুহূর্তে মুক্তিপণ দিয়েই নাবিকদের মুক্ত করা হবে নাকি অভিযানের মাধ্যমে এমভি রুয়েনের মতো জাহাজের নাবিক উদ্ধার ও জলদস্যুদের আটক করা হবে সেটিই দেখার বিষয়।
এ ক্ষেত্রে নাবিকদের জীবন বিপন্ন হওয়ার শঙ্কাও তৈরি হচ্ছে। যদিও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, নাবিক ও জাহাজের যাতে কোনো ক্ষতি না হয় সেভাবেই উদ্ধারের চেষ্টা করা হচ্ছে। জাহাজের মালিকপক্ষও জিম্মিদের যত দ্রুত সম্ভব উদ্ধারে চালিয়ে যাচ্ছে।