গত ২৪ ঘণ্টায় জাপানে ১৫৫ বার ভূমিকম্পের আঘাত হেনেছে। এতে ব্যপক হারে ঘরবাড়ি ধসে পড়েছে। এছাড়াও নিহত হয়েছেন অন্তত ১৩ জন তবে আরো বাড়তে পারে। আহত হয়েছেন আরও বেশ কয়েকজন। প্রথমে দেশটির মধ্যাঞ্চলে ৭ দশমিক ৬ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে।
সোমবার থেকে জাপানে ৭.৬ মাত্রার একটি শক্তিশালী কম্পনসহ ১৫৫ বার ভূমিকম্পের আঘাত হেনেছে বলে জাপানের আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে। এদিন আঘাত হানা বেশিরভাগ ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল রিখটার স্কেলে ৩ মাত্রার বেশি। এসব ভূমিকম্প মাঝারি মাত্রার হলেও মঙ্গলবার ভোরেও দেশটিতে ছয়টি শক্তিশালী কম্পন অনুভূত হয়েছে।
ভূমিকম্পের পর দীর্ঘ সময় ধরে সুনামির সতর্কতা জারি করা হয়নি। এছাড়া ভূমিকম্পের পর জাপানের সামরিক বাহিনী উদ্ধার তৎপরতা শুরু করেছে। তারা খাদ্য, পানি এবং আশ্রয়ের যাবতীয় সরঞ্জাম সরবরাহ করবে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন জাপানকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতার জন্য প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন। এদিকে সুনামির সতর্কতা প্রত্যাহার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে জাপানের আবহাওয়া সংস্থা। পাবলিক ব্রডকাস্টার এনএইচকে এক প্রতিবেদন এ তথ্য জানায়।
জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা জানিয়েছেন, তিনি সাধারণ মানুষকে আশ্বস্ত করতে চান, ভূমিকম্পের পর সাহায্যের কাজ শুরু হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ভূমিকম্পের পর অনেক রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ফলে সেনাবাহিনীর উদ্ধার দলকে ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে বেগ পেতে হচ্ছে। এছাড়া ভূমিকম্পের কারণে অনেক ভবন ধসে পড়েছে।
মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএস জিওলজিক্যাল সার্ভে (ইউএসজিএস) জানিয়েছে, জাপানের হোনশু দ্বীপের ইশিকাওয়া প্রিফেকচারে আঘাত হানা ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল রিখটার স্কেলে ৭.৫। তবে জাপানি কর্তৃপক্ষ এই কম্পনকে ৭.৬ মাত্রার বলে অভিহিত করেছে।
দেশটি বলেছে, মঙ্গলবার মধ্যরাত ১টা পর্যন্ত জাপানে আঘাত হানা ৯০টিরও বেশি ভূমিকম্পের মধ্যে এই কম্পনও ছিল একটি।