চীনের প্রথম গ্রীষ্মমন্ডলীয় মহাকাশবন্দর ওয়েনচাং মহাকাশের জন্য একটি চমৎকার প্রবেশদ্বার হয়ে উঠেছে। বিষুব রেখার কাছাকাছি হাইনানের দক্ষিণ দ্বীপের এই অঞ্চলটি প্রতিটি উৎক্ষেপনে সাফল্যের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়।
পামগাছে ঢাকা উপকূলীয় এলাকাটি সমুদ্রপথে বৃহত্তম লং মার্চ রকেট সরবরাহের সুযোগ করে দেয়। ২০১৬ সালে উন্মুক্ত হওয়া ওয়েনচাং-এর সুরক্ষিত উৎক্ষেপন এলাকাটি একটি বিজ্ঞান-শিক্ষা কেন্দ্র (বিদেশী দর্শনার্থীদের জন্য অবরুদ্ধ), যা রকেটের প্রতিরূপ, পতাকা ওড়ানো মহাকাশচারীদের মূর্তি এবং অন্যান্য পর্যটন সরঞ্জাম দিয়ে সাজানো।
সম্প্রতি, রাশিয়ান কারিগরি বিশ্ববিদ্যালয় মস্কো পাওয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউটকে ওয়েনচাং-এ একটি শাখা খোলার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছে চীন, যেখানে মহাকাশ প্রকৌশল ও বিজ্ঞানের ১০হাজার শিক্ষার্থীর জন্য সুযোগ রযেছে। চীন ইতিমধ্যে ঘোষণা করেছে যে, হাইনানে ৪০ হেক্টর জুড়ে বিস্তৃত প্রতিষ্ঠনটি কোনও চীনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে যৌথ উদ্যোগের পরিবর্তে একটি রাশিয়ান নেতৃত্বাধীন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হতে যাচ্ছে।