সিরিয়া সীমান্তবর্তী জর্ডানে মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে ড্রোন হামলায় তিন সেনা নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরো ২৫ জন।
রোববার (২৮ জানুয়ারি) মার্কিন সেনাবাহিনীর সেন্ট্রাল কমান্ড (সিইএনটিসিওএম) এক বিবৃতিতে তিনজন নিহত ও ২৫ জন আহত হওয়ার এ তথ্য জানায়।
সেন্ট্রাল কমান্ড আরো জানায়, ওয়ানওয়ে ড্রোন দিয়ে এ হামলা চালানো হয়েছে। ওয়ানওয়ে ড্রোনে বিস্ফোরক থাকে। যেটি লক্ষ্যবস্তুতে পৌঁছে গিয়ে বিস্ফোরণ ঘটায়।
সিরিয়ার সীমান্তবর্তী জর্ডানের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে ওই ঘাঁটিতে ড্রোন হামলার এ ঘটনা ঘটে বলেও ওই বিবৃতিতে জানানো হয়।
এ হামলার মাধ্যমে মধ্যপ্রাচ্যে হামাস ও ইসরাইলের মধ্যে যুদ্ধ শুরুর পর প্রথমবারের মতো কোনো হামলায় মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন সেনাদের মৃত্যুর ঘটনা ঘটল। এর আগেও এ অঞ্চলে বিভিন্ন জায়গায় মার্কিন ঘাঁটিতে হামলা হয়েছে। তবে এখনো পর্যন্ত মার্কিন সেনাবাহিনীর তরফ থেকে ওই হামলাগুলোর হতাহতের কোনো খবর দেয়া হয়নি।
নতুন এ হামলা বিষয়য়ে বিবৃতি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘আমরা এখনো এ হামলা-সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ করছি। তারপরও আমরা জানি, হামলাটি সিরিয়া ও ইরাকে সক্রিয় ইরান-সমর্থিত জঙ্গি গোষ্ঠী দ্বারা পরিচালিত হয়েছে।’
নিহত সেনাসদস্যদের জন্য শোক প্রকাশ করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘এ বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই যে, এ হামলার পেছনে যারা রয়েছে, তাদের সবাইকে আমরা সময়মতো আমাদের মতো করে জবাবদিহির আওতায় আনব।’
২০ জানুয়ারি শনিবার ইরাকে মার্কিন ঘাঁটিতে হামলায় যুক্তরাষ্ট্রের কয়েকজন সৈন্য আহত হয়। ইউএস সেন্ট্রাল কমান্ড (সেন্টকম) ঘাঁটিটি লক্ষ্য করে কয়েকটি ব্যালাস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র এবং রকেট নিক্ষেপের বিষয়টি নিশ্চিত করে।
তারও আগে, ২২ অক্টোবর সিরিয়ায় তিন মার্কিন ঘাঁটিতে একযোগে মিসাইল হামলার ঘটনা ঘটে। জানা যায়, দেইর ইজ-জোরের আল-ওমর তেলক্ষেত্র এলাকার মার্কিন ঘাঁটিসহ আল-শাদ্দাদি ও আল-হাসাকার ঘাঁটিতে একযোগে ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলা চালানো হয়। এ ক্ষেত্রে ভূমি থেকে ভূমিতে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করা হয়।
উল্লেখ্য, আমেরিকার ঘনিষ্ঠ মিত্র জর্ডানে মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে প্রায় ৩ হাজার আমেরিকান সৈন্য অবস্থান করছে।
সূত্র : বিবিসি