জাপানের সরকারি অর্থনৈতিক উপাত্ত বলছে, দেশটি প্রযুক্তিগত এক মন্দার মধ্যে পড়ে গেছে। একই সঙ্গে জাপান বিশ্বের শীর্ষ অর্থনীতির দেশগুলোর তালিকায় জার্মানির পেছনে পড়ে গেছে।
জার্মানি তৃতীয় অবস্থানে উঠে এসেছে। পরপর দুই চতুর্থাংশের সংকোচনকে সাধারণত প্রযুক্তিগত মন্দার সংজ্ঞা হিসাবে বিবেচনা করা হয়।
সরকারি হিসাবে দেখা গেছে, ২০২৩ জাপানের মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) ছিল ৪ দশমিক ২ ট্রিলিয়ন ডলার। আর সাম্প্রতিক উপাত্ত অনুযায়ী জার্মানির জিডিপি ৪ দশমিক ৫ ট্রিলিয়ন ডলার।
২০২২ ও ২০২৩ সালে ডলারের বিপরীতে ইয়েন ১৮ শতাংশেরও বেশি কমেছে। এর মধ্যে গত বছরের ৭ শতাংশ অবমূল্যায়নও অন্তর্ভুক্ত। আংশিকভাবে এর কারণ ব্যাংক অব জাপানের নেতিবাচক সুদের হার বজায় রাখা।
এদিকে জার্মানিতে ব্যবহৃত ইউরো সামগ্রিকভাবে একই সময়ে ডলারের বিপরীতে কম-বেশি স্থিতিশীল রয়েছে। জার্মান ও জাপান উভয় অর্থনীতিই শ্রমিক সংকট, জন্মহার কমে যাওয়া এবং বার্ধক্য সমস্যায় ভুগছে। তবে জাপানে এসব সমস্যা বেশি তীব্র।
প্রায় ১২৫ মিলিয়ন জনসংখ্যার জাপান এবং প্রায় ৮৩ মিলিয়ন জনসংখ্যার জার্মানি উভয়ই বিশ্বব্যাপী উচ্চ পর্যায়ের উৎপাদিত পণ্য রপ্তানিকারক হিসেবে পরিচিত।
জাপান একসময় বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহৎ অর্থনীতির দেশ ছিল। ২০১০ সালে চীন জাপানের উপরে উঠে আসে।