জিম্বাবুয়ের প্রেসিডেন্ট এমারসন মানাঙ্গাগওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। দুর্নীতি ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের দায়ে তার বিরুদ্ধে এই পদক্ষেপ নেওয়ার কথা জানানো হয়েছে।
এছাড়া একই অভিযোগে আফ্রিকার দক্ষিণাঞ্চলে অবস্থিত এই দেশটির ফার্স্ট লেডি, ভাইস প্রেসিডেন্ট, প্রতিরক্ষামন্ত্রীসহ অন্যান্য নেতার ওপরও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।
জানা যায়, দুর্নীতি ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের দায়ে জিম্বাবুয়ের প্রেসিডেন্ট এমারসন মানাঙ্গাগওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এছাড়া নিষেধাজ্ঞার এই আদেশটি দেশটির অন্যান্য সিনিয়র নেতাদেরও ক্ষতির মুখে ফেলবে। এর ফলে যুক্তরাষ্ট্রে থাকা তাদের সম্পদ আটকে যাবে এবং সেখানে বেসরকারি উদ্যোগে বা ব্যক্তিগতভাবে ভ্রমণ করতে পারবেন না তারা।
হোয়াইট হাউস বলছে, ‘এই অবৈধ কার্যকলাপগুলো ঘুষ, চোরাচালান এবং অর্থ পাচারে জড়িত বিশ্বব্যাপী অপরাধমূলক নেটওয়ার্ককে সমর্থন করে এবং একইসঙ্গে অবদানও রাখে। যা জিম্বাবুয়ে, দক্ষিণ আফ্রিকা এবং বিশ্বের অন্যান্য অংশে মানুষ ও সম্প্রদায়গুলোকে আরও দরিদ্র করে তোলে।’
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন ইতোমধ্যেই জিম্বাবুয়েতে ‘বহু অপহরণ, শারীরিক নির্যাতন এবং বেআইনি হত্যার ঘটনা’ উল্লেখ করেছেন যা মানুষকে ‘চরম শঙ্কার’ মধ্যে ছেড়ে দিয়েছে।
হোয়াইট হাউস বলেছে, ‘এই শোষণ ও নির্যাতনের জন্য দায়ী ব্যক্তিসহ অন্যদের জবাবদিহি করার প্রচেষ্টার দিকে পুনরায় নজর দিচ্ছে’ তারা।
জিম্বাবুয়ের জাতীয় পুলিশ এবং সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স অর্গানাইজেশন (সিআইও)-এর সদস্যসহ অন্যান্য ঊর্ধ্বতন নিরাপত্তা কর্মকর্তাদেরও এই নিষেধাজ্ঞায় টার্গেট করা হয়েছে। এছাড়া ব্যবসায়ীরা রাষ্ট্রীয় দুর্নীতিতে সহায়তা করেছেন বলেও খবর পাওয়া গেছে।
এছাড়া প্রেসিডেন্ট এমারসন মানাঙ্গাগওয়ার উপদেষ্টা কুদাকওয়াশে ট্যাগওয়াইরি, তার স্ত্রী এবং তাদের দুটি ব্যবসার ওপরও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
জিম্বাবুয়ের সরকারের মুখপাত্র নিক মানাগাগওয়া পুরোনো নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়াকে ‘প্রেসিডেন্ট মানাঙ্গাগওয়ার বৈদেশিক নীতির একটি মহান প্রমাণ’ হিসাবে বর্ণনা করেছেন এবং নতুন নিষেধাজ্ঞাকে ‘অবৈধ’ বলে অভিহিত করেছেন।
উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্র প্রথম ১৯৯০ এর দশকের গোড়ার দিকে জিম্বাবুয়ের ওপর অর্থনৈতিক এবং ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল। তৎকালীন প্রেসিডেন্ট রবার্ট মুগাবে এবং অন্যান্য উচ্চ-পদস্থ সরকারি কর্মকর্তাদের লক্ষ্য করে সেসময এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। মূলত তাদেরকে দেশে গণতন্ত্রকে দুর্বল করার জন্য অভিযুক্ত করেছিল ওয়াশিংটন।
সূত্রঃ বিবিসি