সংক্ষিপ্ত ভিডিও শেয়ারিং অ্যাপ টিকটক যুক্তরাষ্ট্রের ভূখণ্ডে পুরোপুরি নিষিদ্ধ করা সংক্রান্ত একটি বিল পাস হয়েছে । স্থানীয় সময় বুধবার প্রতিনিধি পরিষদে ৩৫২-৬৫ ভোটে পাস বিলটি পাস হয়েছে। এখন বিলটি যাবে কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সিনেটে। সেখানে পর্যালোচনা, যাচাই এবং পাস হওয়ার পর হোয়াইট হাউসে পাঠানো হবে । প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন স্বাক্ষরের পর পুরোপুরি আইনে পরিণত হবে বিলটি।
গণমাধ্যমটি বলছে, মার্কিন পার্লামেন্টে চীনা কোম্পানি বাইটড্যান্সের তৈরি এ সংক্ষিপ্ত ভিডিও কন্টেন্ট শেয়ারিং অ্যাপটিকে যে দেশজুড়ে নিষিদ্ধ করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে, তার প্রথম আভাস পাওয়া গিয়েছিল গত সপ্তাহে। ৭ মার্চ মার্কিন ব্যবহারকারীদের উদ্দেশে এক বার্তায় বাইটড্যান্স কর্তৃপক্ষ বলেছিল, ‘যুক্তরাষ্ট্রে টিকটক নিষিদ্ধ করার জন্য একটি বিল হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসে প্রস্তুত করা হচ্ছে। মার্কিন টিকটক ব্যবহারকারীদের প্রতি অনুরোধ, আপনাদের এলাকার জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। তাদের বলুন যে টিকটক আপনাদের সম্পত্তি এবং (পার্লামেন্টে বিলটি উত্থাপন করা হলে) তারা যেন ‘না’ ভোট দেন।’
কংগ্রেসের আইনপ্রণেতারা জানিয়েছেন, টিকটক এ বার্তা দেয়ার পর থেকে প্রতিদিন তাদের কাছে অজস্র ফোনকল আসছে। তবে মার্কিন প্রশাসন তাদের অবস্থানে অনড়। বুধবার প্রেসিডেন্ট বাইডেনের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারিন জেন-পিয়েরে হোয়াইট হাউসে এক ব্রিফিংয়ে বলেন, ‘আমরা চাই সিনেট দ্রুত এ ইস্যুতে পদক্ষেপ নিক।’ নিম্নকক্ষের সংখ্যাগরিষ্ঠ দল রিপাবলিকান পার্টির ২য় গুরুত্বপূর্ণ নেতা (নাম্বার ২ হাউস রিপাবলিকান) স্টিভ স্ক্যালিস এক্সপোস্টে বলেন, ‘এই বিলটি খুবই স্পর্শকাতর এবং এর সঙ্গে জাতীয় নিরাপত্তার ব্যাপারটি সম্পর্কিত। আমরা আশা করছি, সিনেট এর গুরুত্ব বুঝতে পারবে এবং এটি পাস করবে।’
এদিকে প্রতিনিধি পরিষদে বিলটি পাসের কিছুক্ষণ পর এক ভিডিওবার্তায় বাইটড্যান্সের শীর্ষ নির্বাহী শৌ জি চিউ বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রে টিকটক নিষিদ্ধ করার যে প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে— তা দেশটির অর্থনীতির জন্য বিপর্যয় ডেকে আনবে। এতে একদিকে ক্ষুদ্র-খুচরা ব্যবসায়ীদের পকেট থেকে শত শত কোটি ডলার হারিয়ে যাবে অন্যদিকে অন্তত ৩ লাখ মার্কিনির কর্মসংস্থান হুমকির মুখে পড়বে।’ ভিডিওবার্তায় শৌ জি চিউ আরো বলেন, এ নিষেধাজ্ঞা ঠেকাতে শিগগিরই আইনি লড়াই শুরু করবে বাইটড্যান্স।
সূত্রঃ রয়টার্স