মধ্য আফ্রিকার দেশ ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব কঙ্গোর প্রেসিডেন্ট ফেলিক্স শিসেকেডি দেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রীর নিয়োগ দিয়েছেন। সোমবার পরিকল্পনামন্ত্রী জুডিথ সুমিনওয়াকে কঙ্গোর প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী করা হয়েছে।
বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী জিন-মিশেল সামা লুকোন্ডের কাছ থেকে অর্থনীতিবিদ জুডিথ সুমিনওয়া প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করেন। গত জানুয়ারিতে শিসেকেদির দ্বিতীয় মেয়াদের ক্ষমতা গ্রহণের পর প্রধানমন্ত্রী এবং সরকার গঠন নিয়ে কয়েক সপ্তাহের অনিশ্চয়তার অবসান ঘটল।
গতকাল সোমবার জাতীয় টেলিভিশনে নতুন প্রধানমন্ত্রী সুমিনওয়া বলেন, ‘আমি মহান দায়িত্ব সম্পর্কে সচেতন… আমরা শান্তি ও দেশের উন্নয়নের জন্য কাজ করব।’ কঙ্গোর প্রেসিডেন্ট সিসেকেডি আনুষ্ঠানিকভাবে ডিসেম্বরে ৭৩.৪৭ শতাংশ ভোট নিয়ে বিজয়ী হন। দীর্ঘ সহিংসতা ও অস্থিতিশীলতায় বিধ্বস্ত দেশটিতে নির্বাচন অনেকটা শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হয়। স্বর্ণ ও মূলবান খনিজসম্পদে পরিপূর্ণ কঙ্গো।
দীর্ঘদিন ধরে সহিংসতা ও অস্থিতিশীলতার মধ্যে থাকা দেশটিতে বেশ শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। যদিও বিরোধীদের দাবি, নির্বাচনে জালিয়াতি হয়েছে। এর আগে ২০১৯ সালে কঙ্গোর মানুষের জীবনমান উন্নত করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রথমবারের মতো প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন শিসেকেদি। তবে তিনি সে প্রতিশ্রুতিগুলো রাখতে ব্যর্থ হন। দ্বিতীয়বার নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার পর বিভিন্ন প্রচারণায় শিসেকেদি বিনামূল্যে ওষুধপত্র সরবরাহসহ তার প্রথম মেয়াদের গুরুত্বপূর্ণ অর্জনগুলো তুলে ধরেন।
জাতিসংঘের হিসাব অনুসারে, বিশ্বের অন্যতম দরিদ্র দেশ কঙ্গোতে সংঘাতের কারণে প্রায় ৭০ লাখ মানুষ অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত হয়েছে। নর্থ কিভু প্রদেশের নিরাপত্তা পরিস্থিতি আরও নাজুক। দুই বছরে রুয়ান্ডা-সমর্থিত বিদ্রোহী গোষ্ঠী বিশাল এলাকা দখলে নিয়েছে।