সর্বস্তরের জনগণকে সামাজিক নিরাপত্তার আওতায় আনতে সর্বজনীন পেনশন স্কিম চালু করেছে সরকার। শুরুতে সর্বজনীন পেনশনে মানুষের ব্যাপক সাড়া পাওয়া গেলেও মাঝে নিবন্ধনে কিছুটা ধীরগতি আসে।
তবে এপ্রিল মাসে এসে সর্বজনীন নিবন্ধনের সংখ্যা এক লাখের মাইলফলক স্পর্শ করেছে। সোমবার (২৯ এপ্রিল) জাতীয় সর্বজনীন পেনশন কর্তৃপক্ষের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত বছরের ১৭ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সর্বজনীন পেনশন স্কিম উদ্বোধন করেন। এরপর পরই আবেদন শুরু হয়ে যায়। সর্বজনীন পেনশন স্কিম চালুর পর ইতোমধ্যে আট মাস পার হয়েছে। আট মাস পরে এসে নিবন্ধন সম্পন্নকারীর সংখ্যা এক লাখ স্পর্শ করলো।
এদিকে সর্বজনীন পেনশন স্কিমে জমা পড়া চাঁদার টাকা বিনিয়োগের একটি নীতিমালা করার কথা থাকলেও এখনো তা চূড়ান্ত হয়নি। অবশ্য বিনিয়োগ নীতিমালা শিগগির চূড়ান্ত করা হবে বলে জানিয়েছেন দায়িত্বশীলরা।
প্রাথমিকভাবে প্রবাস, প্রগতি, সুরক্ষা এবং সমতা— এই চার স্কিম নিয়ে সরকার সর্বজনীন পেনশন চালু করে সরকার। পরবর্তীতে সব স্ব-শাসিত, স্বায়ত্তশাসিত, রাষ্ট্রায়ত্ত, সংবিধিবদ্ধ বা সমজাতীয় সংস্থা এবং তাদের অধীন অঙ্গ প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য সর্বজনীন পেনশন স্কিমে ‘প্রত্যয় স্কিম’ নামে নতুন স্কিম চালু করার ঘোষণা দেওয়া হয়।
আগামী ১ জুলাই থেকে এই স্কিম কার্যকর হবে।