দুই দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে চীনে পৌঁছেছেন দীর্ঘদিনের পুরনো বন্ধু রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। দুই বছরের বেশি সময় ধরে চলা ইউক্রেন যুদ্ধের মধ্যে চীন ও রাশিয়া আরও গভীর সম্পর্ক স্থানের চেষ্টা চালাচ্ছে।

ইউক্রেনের উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য খারকিভে বড় ধরনের হামলা চালানোর কয়েকদিন পরই রুশ প্রেসিডেন্ট চীন সফরে গেলেন। দাবি করা হচ্ছে রুশ বাহিনী কিয়েভের ১ হাজার কিলোমিটার ফ্রন্ট লাইনের মধ্যে ঢুকে পড়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রর কাছ থেকে ইউক্রেনের অস্ত্র সরবরাহ পেতে দেরি হওয়ায় এর সুবিধা নিচ্ছে রুশ বাহিনী।

২০২২ সালে ইউক্রেনে রাশিয়া হামলা চালানোর আগে চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং বলেছিলেন, মস্কোর সঙ্গে চীনের সম্পর্কের কোনা সীমা পরিসীমা নেই। এরপর ২০২৩ সালের মার্চে মস্কো সফরে যান শি। ওই সময় তিনি বলেছিলেন রাশিয়া ও চীনের সম্পর্ক নতুন এক অধ্যায়ে প্রবেশ করেছে। সর্বশেষ গত অক্টোবরে রুশ প্রসিডেন্ট চীন সফর করেন। গত দশকে এই দুই নেতার মধ্যে ৪২ বার সাক্ষাত হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে তাদের গভীর বন্ধুত্বের সম্পর্ক ফুটে উঠেছে।

রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার (১৬ মে) সকালেই বেইজিং পৌঁছান পুতিন। আশা করা হচ্ছে ভূরাজনৈতিক দিক দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিদ্বন্দ্বী চীন ও রাশিয়ার সম্পর্ক আরও গভীরে পৌঁছাবে।

পুতিনের রাষ্ট্রী সফরকে চীনা গণমাধ্যম পুরনো বন্ধুর সফর বলে উল্লেখ করেছে। ৭১ বছর বয়সী পুতিন পঞ্চমবারের মতো প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেয়ার পরই এটি তার প্রথম রাষ্ট্রীয় সফর।

চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, এবারের সফরে শি জিনপিংয়ের সঙ্গে শিল্প ও প্রযুক্তি খাত নিয়ে আলোচনা করবেন পুতিন।