গাজায় হামাস বনাম ইসরাইল যুদ্ধ কবে থামবে তার উত্তর এখনও অধরা। এর মাঝে আগুনে ঘি ঢেলেছে ইরানের বুকে হামাসের রাজনৈতিক প্রধান ইসমাইল হানিয়েহর মৃত্যু। যার বদলা নিতে ইসরাইলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে তেহরান! যেকোনও সময় ইহুদি দেশটির উপর আঘাত হানতে পারে ইরান। তাই তড়িঘড়ি মধ্যপ্রাচ্যে বিশাল সেনা মোতায়েন করছে আমেরিকা! অতিরিক্ত রণতরী ও যুদ্ধবিমান পাঠাচ্ছে ওয়াশিংটন।
গত ৩০ জুলাই, মঙ্গলবার, ইরানের নতুন প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেস্কিয়ানের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের রাজনৈতিক প্রধান হানিয়েহ। এর কয়েক ঘণ্টা পরই খুন করা হয় তাকে। হানিয়েহর হত্যার বদলা নিতে ইসরাইলের উপর আক্রমণের নির্দেশ দিয়েছেন ইরানের ‘সর্বশক্তিমান’ সুপ্রিম লিডার আয়াতোল্লা আলি খামেনেই। ফলে যেকোনও সময় ইহুদি দেশটির উপর ভয়ংকর হামলা চালাতে পারে তেহরান। সমর বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, অত্যাধুনিক মিসাইল ছুঁড়ে ইসরাইলের বুকে আঘাত হানতে পারে ইসলামিক দেশটি।
এই উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে মধ্যপ্রাচ্যে থাকা মার্কিন কর্মকর্তা ও ইসরাইলকে সহায়তা করতে যুদ্ধজাহাজ ও ফাইটার জেট পাঠাচ্ছে আমেরিকা। ফলে এবার গাজায় হামাস, লেবাননে হেজবোল্লা ও ইরানের সঙ্গেও লড়াই করতে হবে ইসরাইলি সেনাকে। উল্লেখ্য, এপ্রিল মাসের শুরুতে অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে গোটা মধ্যপ্রাচ্য। ইরানের দূতাবাসে হামলা হয়। অভিযোগের আঙুল ওঠে তেল আভিভের দিকে। তার পর ইরান-ইসরাইল একে অপরকে লক্ষ্য করে মিসাইল হামলা চালায়। তার পর আসরে নামে লেবাননের হেজবোল্লাও। এবার নাকি সরাসরি সম্মুখ সমরে ইরান-ইসরাইল।
বলে রাখা ভালো, গত ৭ অক্টোবর ইসরাইলের বুকে বেনজির হামলা চালায় হামাস। তার পর থেকেই গাজায় রক্তক্ষয়ী লড়াই চলছে জঙ্গি সংগঠনটির সঙ্গে ইসরাইলি ফৌজের। কিন্তু এই যুদ্ধ এবার মধ্যপ্রাচ্যে ছড়িয়ে বড় আকার নিচ্ছে। হামাসকে সমর্থন করে ইসরাইলের বুকে হামলা চালাচ্ছে লেবাননের হেজবোল্লা। ইরানের মদতে সক্রিয় ইয়েমেনের হাউথিরাও। পালটা মার দিচ্ছে ইহুদি দেশটিও। এবার ইসরাইলে সঙ্গে সরাসরি সংঘাতে জড়াতে চলেছে ইরান। ফলে মধ্যপ্রাচ্যে আরেক ভয়ংকর যুদ্ধের মেঘ ঘনাচ্ছে। এবারেও তেল আভিভের পাশে দাঁড়াতে পারে আমেরিকা। ফলে গাজা যুদ্ধকে বৃহত্তর ক্ষেত্রে ছড়িয়ে দিতে হামাসের যে ষড়যন্ত্র সেটাই কী সফল হবে? এর উত্তর সময়ই দেবে।
রয়টার্স